ফের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে লাশ আছে কি না নিশ্চিত হতে মুখের কাপড় সরিয়েও দেখে ডাকাতরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃতের স্বজনরা জানান, বুধবার (২৫ জুন) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সেখান থেকে লাশ নিয়ে তার স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পান বরজের কাছে ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে।

মৃতের ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, গত রাত ১০টার দিকে আমার বড় বোন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর বড় বোনকে নিয়ে আসার সময় কালিতলার মধ্যে একটা পানের বরজের সামনে বাঁশের দিয়ে রাস্তা ব্লক করে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী হাঁসুয়া দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানের দুল ছিল, সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, কতবার মিনতি করেছি, ভাই আমার বোন মারা গেছে। আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসছি মেডিক্যাল থেকে। আমাদের কাছে কিছু নাই। এসব বলার পরেও তারা জোরপূর্বকভাবে আমাদের কাছ থেকে সব নিয়ে যায়।

মৃতের ছোট বোন বলেন, ডাকাতদের অনুরোধ করে আমরা বলি, ভাই আপনাদেরও মা-বোন আছে। আপনারা দেখেন আমার বোন মারা গেছে। তবুও আমার কান থেকে ডাকাত দল একজোড়া দুল নিয়ে যায়। এমনকি ডাকাত দল আমার বোনের মুখ খুলে দেখে যে সত্যিই সে মারা গেছে কি না।

মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘটনা জানার পর অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের কয়েকটি স্থানে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।