যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত এক অসহায় মা ও মেয়ের চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) লিয়াকত আলী। এমন অভিযোগে অবশেষে সোমবার (৩০ জুন) তিনি ধরা খেয়েছেন। স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে শেষমেশ পালিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে গত দুই বছর আগে ভিজিডি কার্ড করে। ওই কার্ড দেখিয়ে লিয়াকত প্রতি বছরে ৬০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। যা কারও জানা ছিল না। গত ছয় মাস ধরে এ চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এর মাঝে রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাজেদা ও তার মেয়েকে কল করে চাল নিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তারা হতবাক হয়ে যান। তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানান, ওই চাল তারা আজ অবধি পাননি। তবে মেম্বারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মা ও মেয়ের কাছে ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারা ওই চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত মেম্বার। একপর্যায়ে ওই চাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি সোমবার সকালে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন লিয়াকতের বাড়ি ঘেরাও করে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশও। তোপের মুখে সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত। পরে ওই ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয় মা ও মেয়েকে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।