সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে ওয়ারা বন্যা আশ্রয় ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালটবাক্সসহ নির্বাচনি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপজেলার সদরে যাওয়ার পথে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাড়ি ডুইয়ারপাড় গ্রামের সামনের হাওরে রাত ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধস্তাধস্তিতে পুলিশের দুটি অস্ত্র ও ব্যালট পেপার পানিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে পানির নিচ থেকে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করা গেলেও ব্যালটপেপার ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
জানা যায়, জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার পর চেয়ারম্যান পদে সবকটি কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি প্রার্থী মো. মনির উদ্দিন বিজয়ী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নূরু মিয়ার সমর্থকেরা তাদের বাড়ির সামনে ব্যালটবাক্স ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টায় পুলিশের ওপর এ হামলা চালায়। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নূরু মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তিনি হামলার কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে, জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ভোটে হেরে দুই পরাজিত সদস্য প্রার্থী চাচা-ভাতিজা মিলে আরেক সদস্য প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হোসেনপুর জিনারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী কামাল উদ্দিন ও তার ভাতিজা আবদুল কাদির ভোটে পরাজিত হয়ে একই ওয়ার্ডের পিপলাকান্দী এলাকার আরেক পরাজিত সদস্য প্রার্থী আল-আমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে পিপলাকান্দী গ্রামের সদস্য প্রার্থী আল-আমিন (৩০) এরশাদ মিয়া (২৫), আনোয়ার হোসেন (২৭), হানিফ মিয়া (২৫), মো. শহিদুল্লাহ (২৬), আবদুল হান্নান (২৪), আকরাম হোসেন (৩৫), লাল মিয়া (৩০), আনিসুর রহমান (৩২), স্বাধীন (১৬), হামিদুল ইসলাম (৫০) ও এরশাদ মিয়াকে (৩৫) হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই ওয়ার্ডে আমিনগাঁও গ্রামের সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম বিজয়ী হন।
আহত সদস্য প্রার্থী আল-আমিন অভিযোগ করেন ভোটের আগে চাচা-ভাতিজা পরাজিত হয়ে যৌথভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে চাচা-ভাতিজার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা জানান, ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের হয়নি। নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ভুরুঙ্গামারীতে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা
/এআর /এএইচ/