পৌর কাউন্সিলরকে মারধরের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাঙচুর

ময়মনসিংহময়মনসিংহ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে মারধরের জেরে শহরের বাউন্ডারি রোডে প্রতিপক্ষের বাসাবাড়িসহ দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

২ নং পুরিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমেদ জানান, জিলা স্কুল মোড়ে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাউন্ডারি রোডের আবুল হাসেমের ছেলে রিপন ও তার সহযোগী সেলিম ও খোকার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু জিলা স্কুল মোড়ে রিপনকে মারধর করেন। এর জেরে শনিবার বিকালে জিলা স্কুল মোড়ে ওই ফ্ল্যাটের অফিস কক্ষে অবস্থানকালে কাউন্সিলর মিন্টুকে মারধর করে রিপন গ্রুপ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মিন্টুর লোকজন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাউন্ডারি রোড এলাকায় রিপন ও সহযোগীদের বাসাবাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউন্সিলর মিন্টুর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন বাউন্ডারি রোডে সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা প্রতিপক্ষের বাসাবাড়ি ছাড়াও কয়েকটি বাসাবাড়ি ও দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় কাউন্সিলর মিন্টু নিজের পিস্তল উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন বলেও স্থানীয়রা জানান।

কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসীরা কয়েকদিন ধরে তার  মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেছেন। র‌্যাবকেও অবহিত করেছেন। শনিবার সকালে তার ওপর হামলার কথা মেসেজে বলা হয়। বিকেল ৪টার দিকে জিলা স্কুল গেইটের সামনের একটি ফ্ল্যাটে অবস্থানকালে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে। তবে তার নেতৃত্বে বাসাবাড়িসহ দোকানপাটে হামলা ও গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।

প্রতিপক্ষ রিপনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

কোতোয়ালি মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাধারণ স্কুলেও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

/বিটি/