আজ ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস

মুক্ত দিবস

আজ ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন।

’৭১ সালের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতা আব্দুল হালিম, মুহসিন আলী মাস্টার ও ছাত্রনেতা আমজাদ আলী ঝিনাইগাতী আসেন। তারা ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নানকে সঙ্গে নিয়ে নকশি ইপিআর ক্যাম্পের সুবেদার হাকিম সংগ্রাম পরিষদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্রোহের ঘোষণা দেয়। দেশকে শত্রু মুক্ত করতে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা করেন। শুরু হলো প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়।

২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত ছিল। ২৭ এপ্রিল পাকিসন্তানি বাহিনী নিয়ে গোলা বর্ষণ করতে করতে পৌঁছায় ঝিনাইগাতী বাজারে। পাকিস্তানি বাহিনী শালচূড়া, নকশি, হলদীগ্রাম, তাওয়াকোচা, মোল্লাপাড়ায় ক্যাম্প স্থাপন করেন।

২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করে। ৩ ডিসেম্বর রাতে শালচূড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানি বাহিনী কামালপুর দুর্গের পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে পিছু হটেন এবং আহম্মদ নগর হেড কোর্য়ারটারের সৈনিকদের সঙ্গে  নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুরে আশ্রয় নেন। এভাবে বিনা যুদ্ধে ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান।

 

/এসটি/