গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা: ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

ধর্ষণ মামলার আসামিনেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনায় এক কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক উপ-সম্পাদক কৌশিক সরকার ওরফে অপুকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের নাগড়া এলাকার মাইক্রোবাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সানোয়ার হোসেন জানান, কৌশিক সরকার অপু জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক উপ সম্পাদক। তার বাবার নাম কাজল সরকার। সে ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাইয়ের দোকানের কর্মচারীও। একটি মাইক্রোবাসে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে এই মামলার অন্যতম আসামি মামুন মিয়াকে মঙ্গলবার ভোররাতে দুর্গাপুরের বিরিশিরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামুন ঠাকুরাকোনা গ্রামের আবদুল গফুর আকন্দের ছেলে ও ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর আলী মাতুব্বরের ভাগিনা। এ মামলার অপর আসামি সুলতান মিয়া (২২) এখনও পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে তিন আসামি ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশে মাছের খামারে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মামুন ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে যায়। পরদিন বেলা ১১টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। দুপুরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলাটিই চলবে বলে জানায়। পরে মেয়েটির বাবা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করলে নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুনরায় মামলা নেয় পুলিশ। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এদিকে, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওইদিন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহম্মদকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা: সাতদিন পর মামলা