বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত শেরপুরের কৃষকরা

শেরপুরবন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শেরপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার চার উপজেলা শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ী ও নকলার ২০ ইউনিয়নের ৩২ হাজার ১১০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে জেলার ৭৭ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন,৫ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা ও ৩ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছিল। আগস্ট মাসে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ২ হাজার ৪৪০ হেক্টরের রোপা আমন,৫৭ হেক্টর বীজতলা ও ১০০ হেক্টরের সবজির আবাদ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় ।

কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী,প্রাকৃতিক দুর্যোগে রোপা আমন ধানে ২৩ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা,বীজতলায় ৫১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সবজি আবাদে ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অর্থাৎ দুর্যোগে কৃষকের শস্যের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৭৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু বন্যা উত্তর কৃষি পুনর্বাসনে কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে পর্যাপ্ত সাহায্য পাওয়া যায়নি।

এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানান,এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এক বিঘা জমিতে আগামী শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ও  ফসলের বীজ এবং দুই প্রকারের সার বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিলম্বে উৎপাদন সহায়ক ‘নাবি’ জাতের ধান রোপণের পরামর্শ দেন।