শান্তি মিশনে নিহত জাকিরুলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার দাবি পরিবারের

জাকিরুলের মৃত্যুর খবরে পরিবারের বিলাপজাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মালিতে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের ল্যান্স করপোরাল জাকিরুল সরকারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার জারিয়া গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। বিলাপ করছেন জাকিরুলের মা-বাবা, স্ত্রী। দুই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার তামান্না যেন অথৈ সাগরে পড়েছেন। কিভাবে সন্তানদের ভরণপোষণ আর লেখাপড়া করাবেন! তাই জাকিরুলের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

২০০১ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মালিতে যান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের ল্যান্স করপোরাল জাকিরুল সরকার। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে বিদ্রোহী সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিহত হন বাংলাদেশের তিন সেনা সদস্য। আহত হয় আরও চারজন।

জাকিরুল সরকারছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শয্যাশায়ী বাবা সফির উদ্দিন সরকার। মা জোছনা বেগম পুত্র শোকে পাথর। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশে শান্তি রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। ছেলের জন্য আমি গর্বিত। আমি চাই সরকার আমার ছেলের এই আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করবে।’ তিনি জাকিরুলে দুই সন্তানের ভরণপোষণসহ তার স্ত্রীর চাকরির দাবি জানান।

নিহত জাকিরুলের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার তামান্না জানান, তিনি বিএ অধ্যয়নরত। তার বড় ছেলের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। ছোট ছেলের বয়স তিন বছর। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহনের জন্য সরকারের কাছে একটি চাকরির অনুরোধ জানান মার্জিয়া।

আরও পড়ুন:

শ্রীমঙ্গলে রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার