এক গাছে মৌমাছির ৬৭টি চাক!

মৌমাছিশেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় সংলগ্ন সীমান্তবর্তী গজনী অবকাশ কেন্দ্রের পুরনো একটি বটগাছে মৌমাছির প্রায় ৬৭টি চাক বেঁধেছে। এই নিদর্শন দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়া অবকাশ কর্তৃপক্ষ ওই মৌমাছি চাকগুলোতে বাস করা মৌমাছিকে কেউ যেন কোনও ধরনের বিরক্ত না করে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই বটগাছের গোঁড়ার দিক থেকে শুরু করে গাছের সর্বশেষ চূড়ার ডালপালা গুলোতে চাক বেঁধে মৌমাছি নির্বিঘ্নে বসবাস করছে। একসঙ্গে একগাছে ৬৭টি মৌচাক একটি বিরল ঘটনা। সে কারণে অনেক দর্শনার্থী গজনী অবকাশে বেড়াতে আসেন।
শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের দর্শনার্থী মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গজনী অবকাশে বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে। একটি বটগাছে ৬৭টি মৌচাক বেঁধেছে, তা আমার জীবনে প্রথম দেখা।’
নকলা উপজেলার উরফা গ্রামের দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মৌচাকগুলোতে কোনও ঢিলাঢিলি নেই। সেজন্যে নির্বিঘ্নে তারা বসবাস করছে। এটা দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয়।
এ বিষয়ে শেরপুর বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই বটগাছে মৌচাক করা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংবদ্ধভাবে একসঙ্গে একস্থানে বসবাস করতে ভালোবাসে। এছাড়া গারো পাহাড় সংলগ্ন বনে এখন প্রচুর ফুল ও এদের খাবার রয়েছে। তাই এই মৌমাছিরা আগামী ৬ মাস পর্যন্ত সেখানে থাকার পর অন্য কোথাও চলে যাবে।’
জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই বটগাছে দিনে দিনে মৌচাকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মৌচাকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ৬৭টিতে। এই মৌমাছিদের কেউ যেন বিরক্ত না করে সেজন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’