তারা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হালুয়াঘাট ও ফুলপুরসহ পাশের তারাকান্দা ও পূর্বধলা উপজেলার মানুষ এ নদী পার হয়ে ময়মনসিংহ সদর ও পাশের জেলা নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরে যেতে হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুর্গাপুর যাওয়ার দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার কমবে।
দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নসহ পাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে ধান ও সবজিসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। ব্রিজ না থাকায় এসব কৃষিপণ্য ধোবাউড়াসহ ময়মনসিংহে নেওয়া সম্ভব হয় না। রিকশা ও ভ্যানে করে নিতে হয়। এতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে যায়।
ভ্যানচালক মতি মিয়া জানান, ভ্যান ও রিকশা নিয়ে নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপারে অনেক সময় মালামালসহ ভ্যান ও রিকশা নিচে পড়ে যায়। তখন দুর্ভোগের আর সীমা থাকে না।
দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দুলাল মিয়া জানান, ব্রিজ নির্মাণ হলে দুর্গাপুর হয়ে সিলেটে যাওয়ার রাস্তাও কমে আসবে। ব্রিজ না থাকায় রোগীদের সহজে ময়নমসিংহ মেডিক্যালে নেওয়াও সম্ভব হয় না।
স্কুল শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার জানান, খরস্রোতা নেতাই নদীতে বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কালিকাবাড়ি ঘাটে নেতাই নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাই টিম গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই টিম পরিদর্শন করবে এবং সম্ভাব্যতা বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পরই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।