তিনি জানান, ওই দুই জন দীর্ঘদিন ধরে গোপনীয়ভাবে টেকনাফ থেকে পালিয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ করে আসছিল।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরজুল হক টুটুল বলেন, ‘এরা টেকনাফের বাসিন্দা। তবে, দীর্ঘদিন ধরে এই দুই জন ঢাকায় থাকতো আর স্থানীয়ভাবে এরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল।এছাড়াও নেত্রকোনা থেকে জেলা পুলিশের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যদের নেত্রকোনায় পাঠিয়েছি। জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও মামলা নেই। তবে এরা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। দু্ই জন সব সময় ঢাকায় অবস্থান করতো। এদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ইসমাইলের লাশ তার ভাই ইব্রাহীম ও ওসমানের লাশ গ্রহণ করেন তার ভাই ইশা খাঁ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার মনাং এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়।