স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার সুতিয়া নদী থেকে পাগারিয়া নদীর প্রায় ছয় কিলোমিটার সংযোগ খালের প্রবাহ ছিল ময়মনসিংহের পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে। একসময় ১২০ ফুট প্রশস্তের এই খাল হয়ে যাতায়াত ছিল নৌকার। কিন্তু, ভরাটের কারণে গভীরতা ও প্রশস্থতা কমছে। ফলে এটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, বাজারের দক্ষিণপাশে প্রভাবশালী মজিবুর রহমান খাল ভরাট করে নির্মাণ করেছেন ‘হৃদয় অটো রাইসমিল’ ও ফিড মিলের কারখানা। খালের উত্তর পশ্চিমপাশে মিলের বর্জ্য ফেলে আরও কিছু অংশ ভরাট করা হচ্ছে। বাজারের উত্তর পাশে জহিরুল ও নয়ন মেম্বর খাল ভরাট করে নির্মাণ করেছেন বাসাবাড়ি। আসগর, ইদ্রিস, মন্তু মেম্বর ও সুলতান ডাক্তারসহ অনেকেই খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
স্থানীয় রমজান আলী জানান, এভাবে মিল ও বাসা বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেওয়ার কারণে বর্তমানে খালে পানির প্রবাহ নেই।
হৃদয় অটো রাইস ও ফিড মিলের মালিক মজিবুর রহমান খাল ভরাট করে মিল নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘খালের উজান থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলে, আমিও ভরাট করা অংশ থেকে মিল সরিয়ে নেবো।’
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান (ইউএনও) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’