৫ বছর মানুষের কাছে থেকে তাদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করেছি: লোতে শেরিং

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানে লোতে শেরিং (ছবি– প্রতিনিধি)ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর নিজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ডা. লোতে শেরিং। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের এম-২৮ ব্যাচের এই ছাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘ ৫ বছর দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছি; তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছি।’

রবিবার (১৪ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়ামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

লোতে শেরিং বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের এম-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. টান্ডি দরজিই আমাকে রাজনীতিতে এনেছেন। তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। টান্ডি দরজি আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক দল ডিএনটি প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৩ সালে। তিনিই আমাদের পার্টির বাবা-মা।’

তিনি আরও বলেন, ‘টান্ডি দরজির নেতৃত্বে আমরা ২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যাই। তাতে দমে যাইনি; ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কাজ শুরু করি।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছাকাছি যাওয়ায় আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করি। এই জয়ের পেছনে বড় কারণ– আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। মানুষ বিশ্বাস করে আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এই কারণে আজ আমি প্রধানমন্ত্রী।’

প্রসঙ্গত, ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ডা. লোতে শেরিং ১৯৯১ সালে বিদেশি কোটায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস ও পরে ১৯৯৯ সালে ইন্টার্নশিপ শেষে ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
২০১৩ সালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দল জয়লাভ করে। পরে ডা. লোতে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটি তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। বন্ধুদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য ২০ বছর পর তিনি ময়মনসিংহে এলেন।