ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শিকারিকান্দা, চুরখাই বাইপাস মোড়, কাজির শিমলা, ত্রিশালের বৈলর, কানহর, ত্রিশাল উপজেলা সদর মোড়, বাগান, বগারবাজার, সাইনবোর্ড, ভালুকার ভরাডোবা, ভালুকা উপজেলা সদর, সিডস্টোর, হবিরবাড়ি, মাস্টার বাড়ি ও জৈনা বাজার মোড়েও গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ পার্কিং, গাড়ি স্ট্যান্ড ও দোকানপাট। ত্রিশাল ও ভালুকার শিল্প-কারখানার সামনে রাস্তার ওপর পার্কিং করে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের পরিবহন বাস, কাভার্ড ভ্যান ও পণ্যবাহী ট্রাক। আর ভালুকা উপজেলা সদরের ব্যস্ততম গফরগাঁও মোড়ের অন্তত ২০০ মিটার রাস্তা দখল করে পার্কিং করে রাখা হয়েছে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিকশা। ভালুকার সিডস্টোর ও জৈনা বাজারের ব্যস্ততম রাস্তার ওপর গড়ে উঠেছে ছোট-বড় যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড।
প্রায় একই মন্তব্য ময়মনসিংহ মহানগরীর বাসিন্দা শরাফ উদ্দিনেরও। তিনি বলেন, ‘চার লেন মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের কোথাও কোনও ভাঙাচোরা গর্ত নেই। তবে বিভিন্ন স্পটে যেভাবে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যানজটের কবলে পড়তে পারে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান বলেন, ‘ঈদের আগে-পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর থেকে সব ধরনের অবৈধ স্ট্যান্ড ও যানবাহন পার্কিং সরিয়ে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে। তখন এই মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষকে কোনও ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।’
এদিকে, যানজট ও দুর্ঘটনাসহ যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়ককে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি)-এর আওতায় এনেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, তার কার্যালয় সংলগ্ন কন্ট্রোলরুম থেকে এবার সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে মহাসড়ককে। এছাড়া ঈদের আগে মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ অনুমোদনহীন যান চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।