স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৮ জুলাই) মাদারগঞ্জ উপজেলার চরগাবের গ্রাম নাদাগাড়িতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ১৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথ ও জামালপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নের এবং আন্তঃইউনিয়নের সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে এ জেলায় চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, সরকারিভাবে যে পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, তা ২৫ ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। ৭৫ ভাগই বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তিনি ত্রাণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনও পর্যন্ত আটশ ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’
ত্রাণে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির।