শেরপুরে গারোদের ‘রংচুগালা’ উৎসব অনুষ্ঠিত





রংচুগালা উৎসবে নৃত্য শেরপুরে গারো সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব ‘রংচুগালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার মরিয়মনগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ উৎসব হয়। ‘ইয়াং মার্চেন ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিশেন’ ও ‘বাংলাদেশ গারো ছাত্র সমাজ’ এর ঝিনাইগাতি উপজেলা শাখা এই উৎসবের আয়োজন করে।

রংচুগালা উৎসবে গাইছেন গারো শিল্পীরাগারোদের বিশ্বাস তাদের ফসল বৃদ্ধিতে দেবতা ‘মিসিসিলং’ ও সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রয়োজন। চাল থেকে তৈরি চিড়া ফসলের মাঠে ছিটিয়ে দিলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হয়ে তাদের ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেন। ফসলের দেবতা ও সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতেই ঐতিহ্যবাহী ‘রংচুগালা’ উৎসবের আয়োজন করেন তারা। গারো সম্প্রদায় প্রধানের নেতৃত্বে শত শত বছর ধরে এই উৎসব পালনের রেওয়াজ রয়েছে তাদের মধ্যে। এসব রেওয়াজের পাশাপাশি চলে তাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-কালচারের সাংস্কৃতিক উৎসব।

রংচুগালা উৎসবে শিল্পীরাউৎসবের মূল পর্বের প্রার্থনা ও আচার-কার্যাদি সম্পন্ন করেন বাংলাদেশের গারো সম্প্রদায়ের প্রধান জনসন মৃ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, শেরপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের। বাংলাদেশ গারো ছাত্র সমাজের ঝিনাইগাতি শাখার সভাপতি অনিক চিরানের সভাপতিত্বে এবং ইয়াং মার্চেন ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিশেনের সভাপতি পবত্রি ম্রং এর সঞ্চালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অঞ্জন ম্রং, স্থানীয় আদিবাসী নেতা হেমার্সান চিরান, অসিম ম্রং, সাংবাদিক ও কবি রফিক মজিদ প্রমুখ।

রংচুগালা উৎসবে স্থানীয় শিল্পী ও ব্যান্ডদলের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রথম আদিবাসীদের প্রমিলা ব্যান্ড দল এফ-মাইনর, জুমাং ও অগোছাল নামের তিনটি দল গারো ও বাংলা ভাষায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।