দেওয়ানগঞ্জে পুড়িয়ে ফেলা হলো ৩ লাখ টাকার কারেন্ট জাল





কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছেজামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে জব্দ করা ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত; যার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। এ সময় ১১ জেলেকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোরে দেওয়ানগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
জরিমানার শিকার জেলেরা হলেন—সজল (৪৫), মনু মিয়া (৩৫), হাবিল (৩০), নিশান (৩৫), মঞ্জুরুল (৩৫), লাল মিয়া (২৫), দুলাল (৩৫), সুজা মিয়া (২৫), ফজলু (৪০), চাঁন মিয়া (৩৫) ও সোনা মিয়া (৩৫)। তারা উপজেলার চরহলকা হাবড়াবাড়ী ও টিনেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মাহমুদুর রহমান, বাহাদুরাবাদ নৌ থানার ওসি মিজানুর রহমান ও চুকাইবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান।
মাটিতে বসে থাকা ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়দেওয়ানগঞ্জ মৎস্য অফিসার মাহমুদুর রহমান জানান, ইলিশ সংরক্ষণে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যক্তি সোমবার ভোরে যমুনা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে মা ইলিশ শিকার করছিলেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও চার কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং আটক ব্যক্তিদের ১০ জনকে মাথাপিছু ৫ হাজার করে ও এক জনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
নৌ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্রতি রাতেই নদীতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।