রুম্পার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম



নিহত স্ট্যামফোর্ড শিক্ষার্থী রুম্পাঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুতে ময়মনসিংহের বিজয়নগরের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় রুম্পার।

এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি গলি থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।

রুম্পা ঢাকা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রাজধানী ঢাকার মালিবাগের শান্তিবাগে মা পারুল বেগম রুম্পা ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। বাবা হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পরিদর্শক। দুই ভাই-বোনের মধ্যে রুম্পা ছিল বড়।

এদিকে রুম্পার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকেই মা মাহিদা আক্তার পারুল শোকে নির্বাক। বাবা অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় রুম্পা ঢাকার শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন। এ সময় তার সঙ্গে মোবাইল ফোন ছিল না। সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের দুটি বহুতল ভবনের মাঝখানের গলি থেকে পুলিশ বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে গিয়ে পরিবার লাশ শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। রাতে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছানোর পর শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি।

এদিকে, রুম্পার মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সন্দেহের তীর বন্ধুদের দিকে। রুম্পার মা জানান, ‘বাসার কাছে হোন্ডা নিয়ে এক বখাটে প্রায়ই রুম্পাকে উত্যক্ত করতো। ওই বখাটে থাকতো এলাকার ভাড়া বাসায়। ঘটনার পর থেকে ওই বাসা তালাবদ্ধ থাকায় এই সন্দেহ আরও বেড়েছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা বাবা রুকন উদ্দিন জানান, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বন্ধুদের মধ্য থেকেই। পুলিশের তদন্তে এই রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশাবাদী রুম্পার বাবা। পরিবার ও স্বজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী এবং রুম্পার সহপাঠীরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।