পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে ১১ জনের নামে মামলা

 

জামালপুরজামালপুরে দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. মনিরুজ্জামান (১৯)। তিনি জামালপুর শহরের বিয়ারা পলাশতলা এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে ও যুবলীগের কর্মী।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজু জানান,  পুলিশকে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে পুলিশই উল্টো তার সঙ্গে ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলযোগে শহরে প্রবেশ করছিলেন মো. মনিরুজ্জামানসহ তিন যুবক। এ সময় সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু, মোটরসাইকেলটির কোনও নম্বরপত্র ছিল না। পরে মো. মনিরুজ্জামান ও তার লোকজন তার ওপর উত্তেজিত হয়ে কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকার করেন। পরে ফোন করে মো. শুভ নামের একজনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন তারা। ঘটনাস্থলে শুভ তাকে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে বলেন, অন্যথায় তার চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকিও দেন। পরে মোবাইল ফোনে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহার সঙ্গে সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শুভ কথা বলিয়ে দেন। রাজন সাহা মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন সার্জেন্টকে। কিন্তু তার অনুরোধে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে না দেওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজন সাহা। এ সময় সার্জেন্ট মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় প্রসিকিউশন (মামলা) লিখতে যান। তার প্রসিকিউশন লিখতে বাধা দেন সেখানে উপস্থিত থাকা যুবকেরা। একপর্যায়ে সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পুলিশ সদস্য জুবায়ের হোসেনকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন যুবকেরা। তারা আটক করা মোটরসাইকেলের চাবিটি ছিনিয়ে নেন। পরে তিনি দ্রুত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ এবং মো. মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা ওরফে রাজুসহ ১১ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।