ময়মনসিংহ রেলের রাজস্ব আয় বাড়লেও যাত্রী সেবার মান বাড়েনি

বসার জায়গা না থাকায় ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেনযাত্রী সেবার মান না বাড়লেও রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়েছে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন। যাত্রীদের অভিযোগ, রাজস্ব আয়ের বিপরীতে বাড়ছে না সেবার মান। অনেক ক্ষেত্রে তা নিম্নমুখী। প্ল্যাটফর্ম ও আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় হকার ও হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। এছাড়া প্ল্যাটফর্ম ও আন্তঃনগর ট্রেনের কামরাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরা।

চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু বসার সুব্যবস্থা নেই।  যাত্রী বিশ্রামাগারের পরিবেশও খুব নোংরা। ময়লার কারণে বাথরুমে যাওয়া যায় না।

তিনি আরও জানান, দিন দিন যাত্রী ও আয় বাড়ছে রেলের। তবে সেবার মান নিম্নমুখী হচ্ছে।

আরেক যাত্রী মাকসুদা বেগম জানান, ট্রেনের কামরার ভেতরের পরিবেশ খুবই নোংরা থাকে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়ে। এছাড়া ট্রেনের টয়লেট এত নোংরা থাকে যে যাওয়া যায় না।

রেল স্টেশনে যত্রতত্র ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনাঢাকাগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কামরুল হাসান জানান, ট্রেনে হকারদের উৎপাতের পাশাপাশি বর্তমানে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। চাহিদা মতো টাকা না দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে টাকা দিতেই হয়। হিজড়াদের কারণে বর্তমানে পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ট্রেনে যাতায়াত করাটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট জহুরুল হক বলেন, ‘নানা অব্যবস্থাপনা ও সীমাবদ্ধতার পরও আশার কথা হচ্ছে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে।’

টিকিট বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, প্রতি মাসে গড়ে ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার ১৪৬ জন যাত্রীর কাছে টিকেট বিক্রি করা হয়েছে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মেইন্টেন্যান্স বাবদ প্রতিমাসের আয়ের ৪০-৫০ ভাগ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি আনিসুর রহমান খান জানান, রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মসহ ট্রেনে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে বারবারই কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। কেন সেবার মান বাড়ানো যাচ্ছে না এ বিষয়টি রহস্যজনক। দ্রুত সেবার মান বাড়ানোর দাবি করেছেন তিনি।