করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু: ৪২ দিন পর হিমঘর থেকে লাশ নেয় পরিবার

লাশ৪২ দিন পর গত বুধবার (৩ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আরাফাত হোসেনের (১৭) লাশ তার পরিবার নিয়ে গেছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর ছিল লাশটি। এলাকাবাসীর বাধার কারণে ছেলের লাশ নিতে পারছিলেন না বাবা মজনু মিয়া। পরে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় লাশ নেন তিনি।

ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, ত্রিশাল উপজেলার চড়ইতলি গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে আরাফাত গাজীপুরে বেকারি শ্রমিকের কাজ করতো। শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া জনিত সমস্যা নিয়ে ২০ এপ্রিল ময়মনসিংহের সূর্যকান্ত (এসকে) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২২ এপ্রিল আরাফাত মারা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করে মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রেখে দেয়। মৃত্যুর দু’দিন পর নমুনা পরীক্ষার ফলে করোনা নেগেটিভ আসে। এরপরও আরাফাতের পরিবার মরদেহ নিতে আসেনি। দীর্ঘদিনেও মরদেহ পরিবারের পক্ষ থেকে না নেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানাকে অবহিত করে একটি চিঠি দেয়। এরপর আরাফাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আরাফাতের বাবা থানায় এসে মৃতদেহ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে একটি আবেদন করেন এবং লাশ ইসলামি শরিয়া মোতাবেক দাফনের অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে মজনু মিয়া জানান, করোনা সন্দেহে আরাফাতের মারা যাওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসী ছেলের লাশ নিয়ে যেতে মানা করে। স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে ছেলের মৃতদেহ ওই সময় হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়িতে নিতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সবাই ভেবেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তারা হয়তো আরাফাতের লাশ সরকারিভাবে দাফন করেছে। থানা থেকে তাদের ডেকে পাঠানোর পরে জানতে পারেন এখনও মৃতদেহ হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে আছে। পরে তিনি থানায় আবেদন করে লাশ নিয়ে যান।