এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে নুর ইসলাম (৪০) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বগারচর ইউনিয়নের ধারারচর নয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী আঃ ছামাদ জানান, শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তার নিকট আত্মীয় বিপ্লব মিয়া (১৭) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে বিদ্রুপ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ধারারচর নয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে জিয়া মিয়া (৩৫)।
ঘটনায় একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আঃ ছামাদ মিয়া ও তার চাচা সরু মিয়া এর প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী নুর ইসলাম, জিয়া মিয়া, অমিল হক, আলী হোসেন, রুহুল আমিন ও তাদের লোকজন। আঃ ছামাদের চাচা সরু মিয়া অভিযুক্তদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তারা সরু মিয়ার পথ রোধ করে হামলা চালায়। সরু মিয়ার ডাক চিৎকারে আঃ ছামাদ এগিয়ে আসলে তারা রামদা দিয়ে আঃ ছামাদের দুটি আঙুল কেটে দেয়। এ সময় তারা সরু মিয়ারও দুটি আঙুল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় ওই প্রভাবশালীরা।
আঙুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গ্রামের অভিযুক্ত মৃত জমশের আলীর ছেলে নুর ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আঃ ছামাদ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, রবিবার সন্ধ্যায় আসামি নুর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। বাকি অভিযুক্তদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।