শেরপুর ও শ্রীবরদীতে আ.লীগের প্রার্থীরা জয়ী

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন এবং মোহাম্মদ আলী লাল বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, শেরপুর পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন (নৌকা) ২৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মামুন রশিদ পলাশ (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮০৪ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আধার (জগ) পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৫২ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ রেজা (চামচ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫২০ ভোট। তবে অন্য একটি কেন্দ্রের ফলাফল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এনএম সাজ্জিল সাদিক জানান, শ্রীবরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী লাল (নৌকা) ৬ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হাকিম (ধানের শীষ) পেয়েছেন  ৩ হাজার ৮৪২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ হবি (জগ) পেয়েছেন ২ হাজার ৮৪৩ ভোট।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শেরপুর পৌরসভায় ইভিএমে এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। শেরপুর পৌরসভায় ৩৫টি ভোটকেন্দ্রের জন্য তিন টিম র‌্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৮ জন এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন এবং শ্রীবরদীতে মোট ভোটার ২০ হাজার ৯০৯ জন।