শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে ইমামের যাবজ্জীবন

জামালপুরের ইসলামপুরে মক্তবের ৭ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. সাইফুল ইসলামকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ মার্চ) বেলা ১টা ১০ মিনিটে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামি সাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সাজা পাওয়া হাফেজ সাইফুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে। সে মোহাম্মদপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিল এবং তার বাবার নাম সাহাব আলী ওরফে ছাহার আলী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আকরাম হোসেন জানান, হাফেজ সাইফুল চরিত্রহীন প্রকৃতির লোক। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর দাদার বাড়িতে থেকে সে একটি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতো এবং সপ্তাহে ছয় দিন ভোরে মসজিদের বারান্দায় শিশুদের কায়দা পড়াতো।

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ভোরে মক্তবে কায়দা পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরে ৭ বছরের ওই ছাত্রী। সকাল ৮টার দিকে ইমাম সাইফুল ইসলাম তার ঘর পরিষ্কার করার কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।পরে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। পরে মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এলে বিচারক মামলার চার্জশিটে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ।

আসামি সাইফুলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আকরাম হোসেন এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ।