ধর্ষণমামলা তুলে নিতে কলেজছাত্রীকে মারধর

নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণমামলা তুলে নেওয়ায় জন্য প্রতিবন্ধী এক কলেজ শিক্ষার্থীকে (১৮) মারধর করে  ব্রিজের নিচে ফেলে রাখে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পাতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে তিয়শ্রী-সিংহের বাজার সড়কের ব্রিজের নিচে থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।

আহত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মাঘনা গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে অপু আমাকে প্রেমের ছলে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ১৯ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। এর পর থেকেই মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করে। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল জামিন পেয়ে অপু বাড়িতে আসে। এর পর থেকে আমাকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। গতকাল বুধবার বিয়ের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে অপু ও তার বাবা আব্দুল করিমসহ আরও কয়েকজন মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে মারপিট করে। আমি অচেতন হয়ে পড়লে ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। আমার একটি চোখ নষ্ট, আরও একটি চোখ তারা নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে অপু জানায়, গতকাল গভীর রাতে একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ওই মেয়েটি আমার বাড়িতে এসেছিল। পরে আমার বাবা চোর মনে করে কয়েকটি থাপ্পড় দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে।

নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে মদন হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী বুশরা আমীনা জানান, মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, প্রতিবন্ধী কলেজ শিক্ষার্থী অপুর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৯ আগস্ট মদন থানায় যে মামলাটি করেছিল, সেই মামলাটি বিচারাধীন আছে। মারপিটের বিয়ষটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।