মাটি কাটায় বাধা, কৃষককে তুলে নিয়ে পেটালেন চেয়ারম্যান

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৫ নম্বর গাজির ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কৃষককে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার কৃষক দুলাল মিয়াকে (৫৫) হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের মুজাখালি গ্রামের দুলাল মিয়ার ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুলালকে নিজ গাড়িতে উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে দুলালকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।

নির্যাতনের কথা স্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন জানান, বালিচান্দা গ্রামের রাস্তায় কাজ করতে গেলে মাটি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুলালের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি সরকারি কাজে বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করলে আমার গায়ে হাত তোলে। পরে গ্রাম পুলিশ তাকে ধরে আমার গাড়িতে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর ভয় দেখানোর জন্য লাঠি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করেছি।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান জানান, দুলাল মিয়াকে নির্যাতনের ঘটনায় পরিবার অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছলাম। তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খলীকুজ্জমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কৃষক দুলাল মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি মানবাধিকার লংঘন। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। দায়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।