ময়মনসিংহের আট হাজার বাহনের সাড়ে ৬ হাজারেরই নেই ফিটনেস

ময়মনসিংহ জেলায় বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা আট হাজার ১৩৬। এর মধ্যে গত ২০২০-২০২১  অর্থবছরে রাজস্ব জমা দিয়ে এক হাজার ৬৭৪টি যানবাহন ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়েছে। বিপরীতে ফিটনেস ডিফল্ডার হয়ে জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে ছয় হাজার ৫০২ টি যানবাহন। এ হিসেবে ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ৭৯.৯২ শতাংশ যানবাহন ফিটনেস ডিফল্ডার। এতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ময়মনসিংহ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারী এবং হালকাসহ আট হাজার ১৩৬ টি যানবাহন ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়কে চলছে। এর মধ্যে গত অর্থবছরে এক হাজার ৬৭৪ টি যানবাহন ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়েছে। বর্তমানে ছয় হাজার ৫০২ টি যানবাহন ফিটনেস ডিফল্ডার হয়ে সড়কে চলাচল করছে। গত অর্থবছরে ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সেবা বাবদ সাত কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার ৩৪৪ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ফিটনেস ডিফল্ডার কমানো গেলে সরকারি রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। এ বিষয়ে যানবাহন মালিকদের বারবার তাগিদ দিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। 
 
ময়মনসিংহ বিআরটিএ অফিসমময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে যানবাহন মালিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়নি। এ কারণে অনেক মালিক  রাজস্ব জমা দিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে পারছেন না। তবে ফিটনেস ডিফল্ডার কমাতে মালিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। 

ময়মনসিংহে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসক) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, করোনার কারণে মানবিক দিক বিবেচনায় সড়কে যানবাহনের ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজপত্র তল্লাশিতে কড়াকড়ি নেই। তবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের ফিটনেস ডিফল্ডার যানবাহনের তালিকা দেয়, তাহলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সড়কে ফিটনেস ডিফল্ডার যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এর সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।