‘আব্বু-আম্মু ক্ষমা করে দিও’ স্ট্যাটাসের পর কলেজছাত্র নিখোঁজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদের (২১) খোঁজ মিলছে না।

তিনি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বানিয়াবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বাবা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিব্বির আহমেদ ময়মনসিংহ শহরের মীরবাড়ি কলেজ রোড এলাকায় একটি মেস থাকতেন। শুক্রবার সকালে ফোন দিয়ে বাড়ি আসার কথা জানান। এর আগে ফেসবুকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসগুলোতে লেখা—‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও, আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুশাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাইখ’, ‘ভালো থাকবে জায়গা, সুখে থাকবে শহর’, ‘ঘর, পরিবার, জায়গা ক্ষমা করে দিও’ এবং ‘আল বিদা’।

সর্বশেষ সকাল ৭টায় বাড়িতে মোবাইল ফোনে জানান, ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু এরপর স্ট্যাটাস দেখে পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে বন্ধ পায়। পরে মেস ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি।

শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ধারণা মেস থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই সে বের হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফেসবুকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়। তারপর থেকে আমরা খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করি। সর্বশেষ ফোনে জানায়, বাড়ি আসছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলেও না। হঠাৎ এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে কী কারণে নিখোঁজ হলো ধারণা করতে পারছি না।’

বাবা আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘আমার ছেলে খুব সহজ-সরল। সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার কোনও টাকা-পয়সার সমস্যাও ছিল না। হঠাৎ কী জন্য এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে হারিয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছি। এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

কোতায়ালি মডেল থানার পুলিশ ইন্সপপেক্টর (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, শিব্বিরের বাবা জিডি করেছেন। তাকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে।