ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী সব বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা থেকে ঢাকামুখী সব ধরনের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দ।

জয়দেবপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ভাঙা রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র যানজটে আটকে থাকায় পরিবহন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে জয়দেবপুর থেকে টঙ্গীর যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গত ২ জানুয়ারি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিল জেলা মোটর মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ। সেদিন এ ধর্মঘটের ঘোষণার সময় দেওয়া হয়।

সে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন মন্তা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা, জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল দত্ত, কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা প্রমুখ।

মমতাজ উদ্দিনের দাবি, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিজস্ব জরিপে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতি মিনিটে সাতটি যাত্রীবাহী গাড়ি বিভিন্ন রোড থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলাচল করে। হিসেব অনুযায়ী ঘণ্টায় যাতায়াত করছে ৪২০টি গাড়ি। ২৪ ঘণ্টায় চলাচল করছে ১০ হাজার ৮০টি গাড়ি। রাস্তা খারাপের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয় ২০ লিটার বেশি। হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮০ গাড়িতে দুই লাখ এক হাজার ৬০০ লিটার তেল লাগে। যার অর্থমূল্য এক কোটি ৬১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। প্রতিদিন মালিকদের তেল বাবদ নষ্ট হচ্ছে ওই টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুর-ঢাকার রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে আমদানি-রফতানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল বহনে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিও রোধ করা যাচ্ছে না। তাই পরিবহন শিল্পসহ সব ব্যবসায়ী মহলের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৬ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘট শুরু হচ্ছে।’