ছবি দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করলো অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী 

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের এ বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) চিকিৎসা নিতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য জেনেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় যুবকদের ছবি দেখে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে (২৮) চিহ্নিত করে ওই কিশোরী। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে কিশোরীর পরিবার। 

অভিযুক্ত জহিরুল গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের নাছির মিয়ার ছেলে।

পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে জহিরুল ইসলামকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন শনিবার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিকালে কিশোরীকে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

কিশোরীর স্বজনরা জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাকপ্রতিবন্ধী। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে জহিরুল ইসলাম। তবে, মেয়েটি কথা বলতে না পারায় বিষয়টি জানাতে পারেনি। সম্প্রতি ওই কিশোরী জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়। পরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেও তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে ২০ মে চিকিৎসকের কাছে গেলে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এলাকার কিছু যুবকের ছবি দেখানো হলে সে জহিরুল ইসলামকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে চিহ্নিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে জহিরুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানায় মামলা করা হয়। 

ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, এজাহারভুক্ত আসামি জহিরুলকে গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে।