‘১৮ ঘণ্টা চামড়া পরিষ্কার করলে দুই হাজার টাকা পাবো’

‘ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬টায় চামড়া পরিষ্কারের কাম শুরু করছি। সোমবার (১১ জুলাই) বেলা ১২টা পর্যন্ত কাম করা যাবো। এই ১৮ ঘণ্টা চামড়া পরিষ্কার কইরা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মজুরি পাওয়া যায়। প্রতিবছর চামড়া পরিষ্কারের কাম করি। এবারও দুই ছেলে শরিফ ও কামালরে নিয়ে চামড়া পরিষ্কারের কাজ করতাছি।’

রবিবার (১০ জুলাই) রাত ১০টায় ময়মনসিংহ মহানগরীর চামড়া গুদাম এলাকায় মোহাম্মদ আলীর চামড়ার আড়তে এসব কথা বলছিলেন শ্রমিক তারাকান্দার খোরশেদ আলম (৫৫)। 

তিনি জানান, গত ২০ বছর ধরে চামড়া গুদাম এলাকায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে চামড়া পরিষ্কারের কাজ করে আসছেন। চামড়া পরিষ্কার করে তিন থেকে চার কেজি মাংস পাওয়া যায়। এর সঙ্গে মজুরিতো আছেই। এবার দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। রাজমিস্ত্রির কাজের ফাঁকে ঈদের চামড়া পরিষ্কার করেন তিনি।

শুধু রাজমিস্ত্রি খোরশেদ আলম না, ময়মনসিংহ মহানগরীর চামড়া গুদাম এলাকায় প্রায় অর্ধশত আড়তে এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিককে চামড়া পরিষ্কার ও চামড়ায় লবণ লাগানো কাজ করতে দেখা গেছে। 

চামড়ার লবণ লাগানো কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আল আমিন জানান, রাত ৮টা থেকে চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজ শুরু করেছেন। সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কাজ করবেন। চুক্তিভিত্তিক এ কাজে ভারতের মালিক তাকে মজুরি দেবে ২০০০ টাকা।’

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পরদিন দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকরা চামড়া পরিষ্কার ও চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজ করে থাকে। এই কাজে এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে। ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা চামড়া পরিষ্কার কাজ করে বেশ আয় করে থাকেন।