অপারেশন থিয়েটারে ২ চিকিৎসকের হাতাহাতি 

জামালপুরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে দুই চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ জের ধরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সব ধরনের কার্যক্রম দুই ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ ছিল। এ সময় থিয়েটারে থাকা বেশ কয়েকজন রোগীর অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী জানান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ডা. নাহিদুল কাদির, হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে ডেকে আনেন। পরে তার সঙ্গেও ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ডা. তাজুল ইসলাম অপারেশন থিয়েটারের ভেতরেই সামসুর রহমানের ওপর চড়াও হন এবং তার শার্টের কলার ধরে ঘুষি মারেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, আমরা অপারেশন থিয়েটারে দরজার সামনে ছিলাম। এ সময় ভেতরে হট্টগোল শুনি এবং জানতে পারি এক ডাক্তার আরেক ডাক্তারকে ঘুষি মেরেছেন। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে প্রায় দুই ঘণ্টা সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে বেশ কয়েকজন রোগী অপারেশন না করেই চলে যান। 

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে ডাক্তারদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা শুনে আমি দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। পরে আমি ও শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ওই ডাক্তারের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে পুনরায় অপারেশন কার্যক্রম চালু করি।

এ ঘটনায় ডা. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি সেখানে উপস্থিত হলে ডা. সামছুর রহমান আমার সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তবে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।