ধর্ষণের ৯ মাস পর সন্তান জন্ম দিলেন নারী, গ্রেফতার হয়নি আসামি

জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের শিকার এক প্রতিবন্ধী নারী মা হয়েছেন। রবিবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে ৫টা দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। মা ও নবজাতক ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় গত ৫ মে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা করেছেন। তবে আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় আসামি করা হয়েছে ওই উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা এলাকার কৃষিকাজ করা মামুন মিয়াকে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়েছিল। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বামী ছেড়ে চলে যায়। ৯ মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিন মাস পর পরিবার বুঝতে পারে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের পরিবার সমঝোতার জন্য বলে। অভিযুক্ত মামুন ভুক্তভোগীকে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে। পরে সালিশও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিয়ে ও সমঝোতা না হওয়ায় ভুক্তভোগীর মা মামলা করেন।

মামলার বাদী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, এহন মেয়ে ও বাচ্চা নিয়ে কই যামু? কী করমু চিন্তায় আছি। মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। গতকাল হাসপাতালে মেয়ে সন্তান হয়েছে। টাকা-পয়সা নাই যে মেয়ের চিকিৎসা করমু। সরকারের কাছে মেয়ে ও তার সন্তানের একটা ব্যবস্থা চাই। মামুনের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. ফাকরিয়া আলম বলেন, ‘রবিবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকেলে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেন। নবজাতক সুস্থ আছে। তবে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা দুর্বল। তাকে রক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে খুব দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। হাসপাতালে ওই নারীর সঙ্গে আমাদের নারী পুলিশ ছিলেন।’