ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বাটা জুতা বিক্রি অভিযোগে আব্দুর রহমান নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা থানায়। সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে শহরের গেইটপাড় এলাকায় নাসিমা সু স্টোরে প্রায় এক হাজার ২০০ জোড়া বিভিন্ন মডেলের জুতা বিক্রির সময় পুলিশ একটি অটোরিকশা আটক করে। অটোরিকশাভর্তি জুতার ছাড়পত্র চাইলে দিতে পারেননি।
বাটার সেলস সুপারভাইজার আজিজুর হক বলেন, বাটার সব ধরনের পণ্যে ভ্যাট দিয়ে বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু যে জুতাগুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর ভ্যাট দেওয়া হয়নি।
সদর থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, জব্দ করা জুতা বাটার। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে চোরাইভাবে এগুলো বিক্রি করে আসছিল। আটক আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি জুতাগুলো শ্রীর্বদ্দীর ডিলার সুজনের কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করেন। পুলিশের ধারনা, বাটার নিজস্ব কারখানার বাইরে যেসব কারখানা থেকে জুতা তৈরি করে সেখান থেকে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা ভ্যাটবিহীন জুতা কিনেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জামালপুর ভ্যাট অফিসে যোগাযোগ করা হলে ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তা জনাব আব্দুর রাজ্জাক জানান, উল্লিখিত নাসিমা সু-স্টোর নামীয় প্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহ থেকে এস এন্টারপ্রাইজ নামীয় বাটার সাব-ডিলার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে বিক্রয় করে থাকেন। উক্ত সাব-ডিলার এস এন্টারপ্রাইজ বাটার মূল ডিলার, মেসার্স নিউ জামান এন্টারপ্রাইজ, ময়মনসিংহ সদর, এর কাছ হতে পণ্য কিনে জামালপুরে পাঠান।
উল্লেখ্য, জামালপুর থানা জব্দ করা ১২০০ জোড়া হাওয়াই চপ্পল এর খুচরা মূল্য ১২০ টাকা মুদ্রিত রয়েছে। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এস আরও নং ১৩৬-আইন/২০২৩/২১৩ এর টেবিল-৩ মোতাবেক মুসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আলোচ্য ক্ষেত্রে কোনও মূসক বা ভ্যাট ফাঁকি সংগঠিত হয়নি। তবে উক্ত পণ্যসমূহ চোরাচালানের পণ্য কিনা অথবা নকল কিনা যাচাই কার্যক্রম চলমান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জামালপুর থানার ওসি শাহ নেওয়াজের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। চোরাচালান কিংবা নকল পণ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
জামালপুরের ডিলার মির্জা রিপন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাটা কোম্পানির প্রতিনিধি জামালপুর থানায় এসে কথা বলবেন এবং নকল কিংবা আসল এ বিষয় নিশ্চিত করবেন। নকল পণ্য হলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ট্রেডমার্ক আইনে মামলা করা হবে।
সদর থানার ওসি শাহ নেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আটক আব্দুর রহমানকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। সদর থানার চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বেবী নাজনীন তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।