হাসপাতালে শয্যা ৭২, শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি ৪০৫

শীতের শুরুতেই তিল ধারণের ঠাঁই নেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। বিছানা, মেঝে এমনকি বারান্দাতেও জায়গা নেই। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে তারা। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম পড়েছেন নার্সসহ চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৪০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এই নিয়ে ৭২ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে তিন ইউনিটে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ৪০৫। অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে ওয়ার্ডের বিছানা, মেঝে ও বারান্দাসহ করিডোরেও রোগীদের রাখতে হচ্ছে।

hospital2

ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসা ময়মনসিংহ নগরীর নওমহল এলাকার জুঁই পাল জানান, তার ছেলে সায়ান পালের প্রথমে জ্বর, ঠান্ডা সর্দি পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এনে ভর্তি করেন। ভর্তির পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় তার নিউমোনিয়া হয়ে গেছে। এরপর থেকেই ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধ চলছে। তবে এখন অনেকটাই ভালো জানান তিনি।

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা চরপাড়া গ্রাম থেকে আসা শিশু রোগী আবুল ফজলের বাবা আব্দুল করিম জানান, গ্রামে শীত শুরু হয়েছে, ভোরবেলা কুয়াশা পড়ে। সেই কুয়াশা থেকে তার ছেলে ঠান্ডা সর্দি জ্বর শুরু হয়। পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেলে হাসপাতালে এনে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এরপর থেকেই চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল থেকেই বিনামূল্যে সব ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে।

hospital3

শিশু ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, শীতের শুরুতে বিশেষ করে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরে শিশু রোগীর সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়তে থাকে। এবারও শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ কর্মরত চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আন্তরিকভাবেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারিভাবে সরবরাহ করা হাসপাতাল থেকে সব ওষুধই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। কর্মরত নার্স এবং চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।