ঈদে বাড়ি ফেরার সময় বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসন্তান নিহত

ময়মনসিংহে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী একটি বাস বিপরীতমুখী মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ও ছেলে মাহিত (২)। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মাহিত। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। দুজনে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন। পরিরবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে স্বামী-স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত মাহিন্দ্রাচালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।’

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।  

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।’