ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি ভাঙচুর: ১২ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযানের সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ১২ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরিবেশ অধিদফতর শেরপুরে বেশ কয়েকদিন ধরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিল। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ মার্চ দুপুরে ঝিনাইগাতি-শেরপুর-জামালপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন ইটভাটার শ্রমিকরা।

দুপুর ১টার দিকে, মোবাইল কোর্ট পরিবেশ অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে অভিযানে বের হলে শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে শ্রমিকরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা পরিবেশ অধিদফতরের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিশাল মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান ভূঁঞা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ জেলা প্রশাসকের পক্ষে শ্রমিকদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস জানান, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১২ জন ইটভাটা মালিকের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় শ্রমিকের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গত রাতে অভিযুক্ত পাঁচ ইটভাটা মালিকের বাসায় গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি।’

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের ওপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মামলার তদন্ত চলবে, পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’