নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সানোয়ারুল ইসলাম (২৬) নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুলের। সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ শহরের শিশুপার্ক এলাকায় ঘুরতে যান তিনি। সেখানে তাদের আচরণ স্থানীয়দের নজরে এলে তারা আটক হন, পরে আলোচনাসাপেক্ষে একপর্যায়ে ছাড়া পান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সানোয়ারুলকে বিয়ের চাপ দেয় ওই ছাত্রী। কিন্তু সানোয়ারুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। তদন্ত করে গত ১৮ মে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। তবে মামলার পরপরই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সানোয়ারুল।
মামলার পর থেকেই সানোয়ারুল পলাতক রয়েছেন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১৯ মে থেকে ছুটি নিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। ঢাকায়ও অভিযান হয়েছে। কিন্তু সে কৌশলে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সানোয়ারুল ১৯ মে থেকে স্কুলে আসেননি। পরে জানতে পারি, তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন। ৩১ মে পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর রয়েছে।’
স্থানীয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকের সনদ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ছুটি দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’