এর আগে গত ১৪ মে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ‘দ্রুত’ বিচারের আশ্বাস দেন। মন্ত্রীর আশ্বাসে ১৭ মে চলমান আন্দোলন স্থগিত করে সমিতি। গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে আবারও আন্দোলনে ফিরে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে অধ্যাপক শাহ আজম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দেওয়ায় আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম, কিন্তু তাদের আশ্বাস যদি শুধুমাত্র আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন,‘মামলার অগ্রগতিতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। তাই সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মামুন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘অধ্যাপক রেজাউল হত্যার ৪০ দিন পরও হত্যার রহস্য উম্মোচন হয়নি। হত্যায় জড়িত আছে এমন দুইজনকে আটক করেছে বলে পুলিশ দাবি করে। কিন্তু কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তাই হত্যার রহস্য উন্মোচন ও মূল পরিকল্পনাকারীরা যাতে পার না পায় সেজন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ রাষ্ট্র এই হত্যার বিচার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়।
গত ২৩ এপ্রিল অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ দাবি করছে, জেএমবি সদস্যরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। একজন ‘জেএমবি’ সদস্য এই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
/জেবি/টিএন/আপ-এআর/