আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে শ্মশান দখলের অভিযোগ, এলাকা ছাড়ার ঘোষণা সংখ্যালঘুদের

বগুড়ার শিবগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের একমাত্র স্থান বানাইল মহাশ্মশান দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে শ্মশানের একাংশে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়েছে। এ দখলের প্রতিবাদে শনিবার উপজেলা সদরের চিকাদহ এলাকায় মানববন্ধন করেছেন সংখ্যালঘুরা। প্রশাসন মহাশ্মশান উদ্ধার করে না দিলে এলাকার সব হিন্দু ধর্মালম্বীরা বাধ্য হয়ে এলাকা ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

করতোয়া নদীর তীর সংলগ্ন এ মহাশ্মশানে ১৯১০ সাল থেকে মৃতদেহের সৎকার করা হচ্ছে। এটি জমিদার পত্নী নগেন্দ্র বালার নামীয় সিএস ৮৭ দাগের সম্পত্তি। সিএস-এমআরআর এবং সর্বশেষ মাঠ জরিপেও তা বহাল আছে। কিন্তু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মহাশ্মশানের উত্তর পাশের বেশ কিছু এলাকায় মাটি ফেলে ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করবেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি মাটি ভরাট না করতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাম নারায়ণ কানু জানান, করতোয়া নদীর পাশে ২৫ শতক জমিতে প্রাচীন এ মহাশ্মশানে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছে। শ্মশান সংক্রান্ত সব কাগজপত্র তাদের হাতে রয়েছে। এর আগে জনৈক ওসমান মোল্লা কিছু জমির মালিকানা দাবি করলেও তিনি তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ওসমান মোল্লার নাম ব্যবহার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক সেখানে মাটি ভরাট ও দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

বানাইল কেন্দ্রীয় বারোয়ারী শিবমন্দির ও শ্মশান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, শ্মশানের জায়গা রক্ষায় সোচ্চার হলে আওয়ামী লীগ সভাপতির রোষানলে পড়েন। এর আগে এ বিষয় নিয়ে কথা বললে তাকে হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়।

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই জাগায় জনৈক ওসমান মোল্লার। আর তার লোকজন নিজের জায়গায় মাটি ভরাট করছেন। এসবের কিছুতেই আমি নেই।’

আরও পড়ুন: অনুদানের বাস প্রথম দিনেই দুর্ঘটনার কবলে

/এমও/এসটি/