গণপূর্ত বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের চতুর্থ থেকে অষ্টম তলা নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি ২৮ হাজার টাকা। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন।
ঠিকাদার মনির হোসেন বকুল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের বাক্সে দরপত্র দাখিল করতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দরপত্র দাখিল করতে যান। সেখানে যেতেই এজাবুল হক বুলিসহ তার লোকজন দরপত্র দাখিলে বাধা দেন। একপর্যায়ে বুলির সঙ্গে থাকা ইফতেখার আহমেদ রঞ্জু তাকে ধাক্কা দেয় এবং দরপত্রের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আংশিক ছিনিয়ে নেন। বাকি কাগজপত্র তিনি দাখিল করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ধাক্কাধাক্কির সময় উপস্থিত সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবুল কালাম সাহিদের কাছে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাতে সাড়া দেননি। কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পরে পুলিশ রঞ্জুকে আটক করে।
পুলিশ সুপার জানান, ‘তেমন বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। একজন ঠিকাদার দরপত্র দাখিল করতে এলে অপর কয়েকজন বাধা দেয়। আমরা ওই ঠিকাদারকে দরপত্র দাখিল করতে সহযোগিতা করেছি।’
এজাবুল হক বুলি বলেন, ‘বকুলকে বাধা দেওয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে এসপি অফিসে গিয়ে আমিই তাকে দরপত্র দাখিলে সহযোগিতা করেছি।’
/এআরএল/
আরও পড়ুন:
বিএনপির যেসব নেতা এখনও কারাগারে