অভিযোগে জানা যায়, কোনও ধরনের নকশা ও পরিকল্পনা ছাড়াই লুপ লাইনটি তৈরি করা হয়। লাইনটি নির্মাণ করতে গিয়ে একটি মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হয়। রেল বিভাগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ওয়েল কোম্পানিকে দিয়ে তড়িঘড়ি এ কাজটি করাচ্ছেন। কিন্তু বাঁকা করে লাইন নির্মাণ করায় আমদানিকৃত নতুন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ট্রায়াল সান্টিং করতে গিয়ে আটকে যায়। গত কয়েকদিন চেষ্টা করেও লাইন সোজা করতে না পারায় ট্রেনটি ঘুরানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ম্যাক্সওয়েল কোম্পানির সুপারভাইজার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘লুপ লাইন নির্মাণের কোনও পরিকল্পনা ও নকশা তাদের হাতে দেওয়া হয়নি। রেল কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা লাইন বিছিয়ে দিয়েছি মাত্র।’
স্থানীয় রেল বিভাগের কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পিডাব্লিউ) আশরাফ উদ্দিন বলেন, বাজার স্টেশনটি বাঁকা। তাই লুপ লাইনও বাঁকা করে স্থাপন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটির সান্টিং বা ঘোরানোর জন্য ট্র্যায়াল করতে এসে ইঞ্জিনের কাপলিং না খোলায় ট্রেনটি আর আরা ঘোরানো সম্ভব হয়নি। এ কাজের কোনও নকশা বা পরিকল্পনা রেল বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়নি। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে বাস্তবে যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, ঠিক সেভাব্ইে লুপ লাইন তৈরি করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) জাফর মিয়া বলেন, বাঁকা লাইনটি সোজা করার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিভিশনাল প্রকৌশলী (ডিএন)-২ আসাদুল হক বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকায় চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।
রেল মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জবাসীর দাবি পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০১৩ সালের ২৭ জুন সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল শুরু করে। সিরাজগঞ্জ আসার পর ট্রেনটির ওয়াশ-পিট বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সান্টিং এবং বগী ও ইঞ্জিনে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের জন্য ঈশ্বরদী যেতে হয়। এ কারণে রেল বিভাগের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া ট্রেনটি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লুপ লাইন চালু হলে কমপক্ষে সোয়া দু’ঘণ্টা আগে ট্রেনটি বাজার স্টেশন থেকে ঢাকার দিকে ছেড়ে যাবে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে লুপ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এটি সরাসরি সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলবে।
/বিটি/