মেয়র সুমন দাবি করেন, এমপির নির্দেশে এ কাজ করা হয়েছে। তবে ভবন মালিক বলেন, এমপির নির্দেশে নয়, ভাড়াটিয়া রাখবেন না তাই তালা দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাধারণ পৌরবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ অচলাবস্থা নিরসনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দুবছরের চুক্তিতে মাসিক ৮ হাজার টাকায় অফিসটি ভাড়া নেন তিনি। ভবন মালিক মাসুদ বৃহস্পতিবার সকালে লাইসেন্স পরিদর্শক আবদুর রশিদসহ কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে পৌরবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। খবর পেয়ে তিনি পৌরসভায় আসেন। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানায় ও থানায় অভিযোগ করেন।
মেয়র সুমন অভিযোগ করেন, তার রাজনৈতিক উত্থান বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের এমপি ও তার লোকজন সহ্য করতে পারছে না। তাই তাকে অন্যায়ভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। নানাভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে।
এদিকে নিজেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক দাবি করে ভবন মালিক মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ২-৩ মাসের জন্য ভবনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। বার বার বলা সত্ত্বেও মেয়র পৌর কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেননি। ভাড়াটিয়া রাখা হবে না, তাই তালা দেওয়া হয়েছে। এখানে এমপি বা অন্য কারও উসকানি নেই।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, মেয়র মৌখিকভাবে তাকে অভিযোগ করেছেন। তিনি উভয়পক্ষের কাছে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
/এআর/