বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

Sirajganj File Photo on Bangabandhu Bridge Jam-08-01-17ঘন কুয়াশায় সেতু পারাপারে দুর্ঘটনা এড়াতে টানা ৪ ঘণ্টা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কারণে রবিবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর দু’পাড়ে ফের দীর্ঘলাইন ও ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। আজ ভোর ৪টা থেকেই সেতুর দু’পাড়ে থেমে থেমে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে সেতু দু’পাড়েই পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কারণে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসগুলোর যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।

সেতুর ওপরসহ দু’পাড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতু রক্ষণাবেক্ষন কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) গত কয়েক দিন থেকেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে এ সময় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাসের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবিবারও ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমান যন্ত্রে নূন্যতম ২০ মিটার দূরের যানবাহন দৃশ্যমান না হওয়ায় সেতু পারাপারে ক্ষেত্রে বিবিএ’র কড়াকড়ি করে। সকাল সাড়ে ১০টায় সময় সেতুর পশ্চিমপাড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ হয়ে কড্ডা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ছিল। একই অবস্থা ছিল সেতুর পূর্বপাড়ে টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর ও এলেঙ্গা হয়ে মির্জাপুর পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বিবিএ’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক কন্ট্রোল ম্যানেজার উইং কমান্ডার (অব.) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু ঘন কুয়াশা এবং সেতুর ২০ মিটার দূরের যানবাহন ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না, তাই সেতুর ওপর এবং দু’পাড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শনিবার রাত থেকেই আবারও নতুন করে এ ধরনের সতর্কতামূলক অবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেতুর ওপর স্থাপনকৃত ‘ভেইকল ভিজিবল মেশিল’ বা যানবাহন দৃশ্যমান যন্ত্র পর্যবেক্ষণ করে বিবিএর নিয়ম অনুযায়ী ২০ মিটারের মধ্যে যানবাহন যথাযথভাবে যদি দৃশ্যমান না হয়, তখন এ ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দৃশ্যমান যন্ত্র দেখে ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা সেতুর ওপর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়।’ সকাল সাড়ে ১১টার পর এ অবস্থার মোটামুটি উন্নতি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।   

সেতুর পশ্চিম পাড়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ আহম্মেদ জানান, শনিবার রাত থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে।

/এমডিপি/