ভুক্তভোগী শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম জানান, রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণির দ্বিতীয় ক্লাস নেওয়ার জন্য তিনি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন। ক্লাস শুরুর আগেই স্থানীয় মামুনের ছেলে একই শ্রেণির অপর এক ছাত্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এসময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলে অপর এক ছাত্র মামুনকে খবর দেয়। স্কুল পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মামুন বিষয়টি শোনার পর তার ছোটভাই মানিক ও বাবা আলতাফকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে তাকে (মুনজুরুল) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে তিনজন মিলে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মানিক বাড়ি থেকে চাপাতি এনে তাকে আক্রমণ করতে গেলে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি বেঁচে যান। এবিষয়ে তিনি ইউএনও’র মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল জব্বার দাবি করেন, বিষয়টি জানার পর ওই দিন বিকালেই তিনি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তরা কেউ উপস্থিত না হওয়ায় মীমাংসা করা যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ দায়েরের পর ওই দিন মাত্র পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ আটক বা ঘটনার কোনও সুরাহা হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষক মুনজুরুল ইসলাম মাথায় জখম নিয়ে ক্লাস করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে সিংড়া থানার ওসি নাছির উদ্দিন মণ্ডল জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
/এআর/