শফিকুলের বাবা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘ছেলে এতদিন পর বাড়ি আসছে শুনে খুশিতে আমরা আত্মহারা। অথচ সেই ছেলে খুন হয়েছে এ কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর মা তো খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বার বার জ্ঞান হারাচ্ছে।’
প্রতিবেশী শাহ আলম জানান, সফিকুল দীর্ঘ ১০ বছর হলো মালয়েশিয়ায় আছেন। তিনি খুবই ভদ্র। তার কোনও শত্রু ছিল না। তাকে কেন খুন করা হলো সেটি আমাদের বোধগম্য না। আমরা এ খুনের বিচার চাই।’
শফিকুলের বাবা আলতাফ হোসেন জানান, ২০০৭ সালে চাকরি করতে সফিকুল মালয়েশিয়া যায়। সেখানে সবজি ব্যবসায়ী সিতির ফার্মে চাকরি করতো সফিকুল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হলে এক বছর আগে তারা বিয়ে করে। সিতিকে নিয়ে চার মাস আগে সে বাংলাদেশে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। পরে তারা দুজন মালয়েশিয়ায় ফিরে যায়। স্ত্রীর কাগজপত্র ঠিকঠাক করার জন্য সোমবার রাত ১১টায় বাংলাদেশ বিমান বন্দরে এসে তাদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। ইমিগ্রেশন শেষে রাত ৩টার দিকে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশের ধারণা, কোনও ছিনতাইকারী বা ডাকাতদল শফিকুলের সঙ্গে থাকা মালপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। মাথায় আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
/বিটি/