নিখোঁজের তিনদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

Chapainawabganj PHOTO-01.18.01.17

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নিখোঁজের তিনদিন পর এসলাম উদ্দিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ  বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ওয়াহেদপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

নিহত ওই বাংলাদেশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দূলর্ভপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।  

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার সুতিপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর পিযুষ মিত্তিরের কাছ থেকে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ গ্রহণ করেন শিবগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. কামরুজ্জামান।  

পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওহেদপুর বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার জামাল উদ্দিন ও বিএসএফ’র চাঁদনীচক ক্যাম্প কমান্ডার মোনারাম।   

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আবুল এহসান জানান, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মরদেহটি গ্রহণ করে।

তিনি আরও বলেন, কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত  শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসলামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, সুতিপুর থানা পুলিশ নিহত এসলামের লাশ ময়নাতদন্ত করলেও; পতাকা বৈঠকে কোনও রিপোর্ট দেয়নি বিএসএফ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাতে এসলামসহ ২০/২৫ জন রাখালের একটি দল গরু আনতে ওয়াহেদপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের নুরপুরে প্রবেশ করে। গভীর রাতে গরু নিয়ে একই পথে ফেরার সময় বিএসএফের চাঁদনীচক ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের ঘেরাও করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও এসলাম উদ্দিন বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এসলাম উদ্দিন।

পরে এ ঘটনায় সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হলে বিএসএফের কাছে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় বিজিবি। বুধবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসলাম উদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।

/বিটি/

আরও পড়ুন:

নিখোঁজ চার নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়?