আ.লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর মামলায় বগুড়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

বগুড়াবগুড়া জিলা স্কুল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের মামলায় প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে সদর থানা পুলিশ শহরের সেউজগাড়ির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে রমজান আলী আকন্দের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে বৃহস্পতিবারই রমজান আলী আকন্দকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নাতি জিলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে চালক নজরুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে তাকে আনতে যান। তিনি গাড়ি স্কুলের ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান শিক্ষক রমজান আলী ক্ষিপ্ত হন। গাড়ি স্কুলের ভেতরে নিয়ে যাওয়ায় তিনি চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। গাড়িটি মমতাজ উদ্দিনের-এই কথা বলে চালক। তবে প্রধান শিক্ষক তাতে পাত্তা দেননি। এ সময় মাঠে ক্রিকেট খেলতে থাকা কয়েকজন ছাত্র ব্যাট দিয়ে গাড়িতে আঘাত করে। এতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির চালক দাবি করে, প্রধান শিক্ষকও গাড়িতে আঘাত করেন। এ ঘটনায় চালক সদর থানায় প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। তবে গাড়িতে আঘাত করার অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক রমজান আলী।

এদিকে খবরটি প্রচার হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে ১৫-১৬ জন যুবক শহরের সেউজগাড়ি এলাকায় প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর বাড়িতে হানা দেয়। তারা প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর দরজায় লাথি দেয়। এরপর ঢিল ছুড়ে ৩-৪টি জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে। পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়। তখন প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দ দাবি করেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।

প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে নেতাকর্মীরা ফিরে আসে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতির গাড়িতে হামলার ঘটনায় চালকের মামলায় বুধবার রাত ১১টার পর প্রধান শিক্ষক রমজান আলীকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জিলা স্কুলের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে রিপোর্ট দেবেন। সেখান থেকে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 

মুফতি হান্নান ও বিপুলের ফাঁসি কাশিমপুর, রিপনের সিলেট কারাগারে
বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলার প্রস্তুতি