শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত এ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসিত করা হবে। মানুষের ক্ষতি হোক এটা সরকার চায় না। একজন মানুষের কষ্টের কথা শুনলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কষ্ট পান।’
বিভিন্ন দফতরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জেলা হেডকোয়ার্টারে বসে না থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দায়িত্বশীল হোন। জেলার সার্বিক তথ্য খাতায় লিপিবদ্ধ নয়, মুখস্থ রাখুন। দুর্গত মানুষদের সেবা করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চারটি দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে সরকার। সিলেটের হাওর অঞ্চলের বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোড়া ও পাহাড় ধসের মত বড় বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এরপর দেশের ১৩টি জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বন্যা। অন্যান্য দুর্যোগের মত এ দুর্যোগও সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ আলম, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. মনজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভুইয়াসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। পরে মন্ত্রী বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য কাজিপুর উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন।
/এফএস/
আরও পড়ুন- ‘আল্লাহ আমাগোরই খালি বিপদ দেয়, তাগোর তো কিছু অয় না’