তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

তারেক রহমানকে ফেরানোর ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে রাজশাহীতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,‘তারেক রহমানের বিষয়ে আমরা ইন্টারপোলকে জানিয়েছি। সে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি,সে এখন ফেরারি।’ বুধবার বিকেলে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আখতার জাহান, রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব উল-হক।

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৫৭ ধারায় যে অপরাধগুলোর কথা বলা আছে সেগুলো কিন্তু অপরাধ। সেই অপরাধগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এগুলো বাদ দেওয়া যাবে না। ৫৭ ধারায় কোনো নাগরিক যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা থাকবে। ৫৭ ধারা এখন যে রূপে আছে, সেই রূপে থাকবে না।

বুধবার প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চিফ জুডিশিয়াল বহুতল আদালত ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে বহুতল আদালত ভবনটি উদ্বোধন করবেন। এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ কাজ তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এ ভবন নির্মাণ শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষ করে ২০১৪ সালের মধ্যে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে ভবনটির কাজ শেষ হতে ৫ বছর লেগেছে যায়। এই ভবনে এক সঙ্গে ১০টি এজলাসে বিচার কাজ চালানো যাবে। এর ভবনটি নির্মাণের কারণে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, বিচারপ্রার্থী, আসামি ও বিবাদিসহ আদালত সংশ্লিষ্ট সবার সুবিধা হবে। ভবনটির ভিত্তি ১২ তলা হলেও প্রথম পর্যায়ে আট তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি ব্যবহারের অভিযোগে মামলা: বরগুনা ইউএনও’র জামিন